ছাদবাগানের সবগুলো সমস্যার সমাধান এখন ১ টি মাত্র প্যাকেজে !
ছাদে বাগান । শব্দটা শুনলেই মনের ভেতর এক সবুজ অনুভূতি ভর করে । কিন্তু ইচ্ছে থাকলেও জানা নেই নিয়ম কানুন কিংবা সঠিক পরামর্শ । প্রায় ৯0% বাগানির প্রধান সমস্যা মূলত ৫ টি।
এই ৫টি সমস্যা সমাধান করতে না পারায় , ছাদবাগান থেকে তারা আশানুরূপ ফুল-ফল পাচ্ছেন না।
একজন বাগানি হিসেবে আমরা যে ৫ টি সমস্যা গুলর সম্মুখীন হই !
✅বিভিন্ন ক্ষতিকর কীট পতঙ্গের আক্রমণ। যেমনঃ মিলিবাগ ,জাভ পোকা, ফুড-ফ্লাই, হপার , সাদা মাছি , বিটল পোকা ইত্যাদি।
✅ফুল-ফল ঝরে পড়া : কুড়ি থেকে ফুল ও ফুল থেকে ফলে পরিনত হওয়ার সময় ছাদবাগানে ঝরে পরে প্রায় ৯০% ফুল-ফল।
✅গাছের স্বাভাবিক গঠন : আরেকটা কমন সমস্যা হচ্ছে গাছ লাগানোর পরে গাছের স্বাভাবিক গঠন বৃদ্ধি না হওয়া। তখন বাগানিরা সবচেয়ে বেশি দুঃচিন্তায় ভোগেন। বুঝেই উঠতে পারেন না এসময় কি করতে হবে এবং কিভাবে করতে হবে।
✅সার প্রয়োগ : টবে সার প্রয়োগের ক্ষেত্রে কিছু মৌলিক ভুলের কারণে ফসলের উন্নত ফলন অসম্ভাব্য হতে পারে। এই ক্ষেত্রে অবশ্যই সঠিক পরিমাণ এবং সঠিক সময়ে সার প্রয়োগ করা গুরুত্বপূর্ণ। মনে রাখা উচিত 1 টা গাছের বেঁচে থাকতে 17 টা উপাদান প্রয়োজন হয়। তাই সুষম সার বা অনুখাদ্য ব্যবহার করা জরুরি।
✅ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়াঃ ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের জন্য গাছের পাতা, ফুল, ফল, শাখা বা কান্ড যদি বিকৃত হয়ে যায় অর্থাৎ স্বাভাবিক আকৃতির পরিবর্তন আসে তাহলে বুঝতে হবে এটা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ। ছত্রাক: গাছের গোড়া/শিকড় পঁচে যাওয়া, পাতা হলুদ হয়ে ঝরে পড়া, পাতার কিনারা পুড়ে যাওয়া, পাতা/ফলে কালো বা বাদামি দাগ পড়া ইত্যাদি ছত্রাকের লক্ষণ।
আপনার ছাদবাগানের সবগুলো সমস্যার কার্যকরি সমাধানে
কি কি থাকছে প্যাকেজটি তে ??
এই প্যাকেজে আপনি সর্বমোট ২৫-৩০ টা গাছের জন্য সার পাচ্ছেন ঃ (ক) অনুখাদ্য ৪ কেজি (খ) ফ্লোরা 100 মিলি (গ) সবিক্রন ৫০ মিলি ( ঘ) ম্যানসার ১০০ গ্রাম (ঙ) ট্রাইকোডার্মা লিকুইড 100 মিলি ।
✅ছাদবাগানের গাইডলাইন বইঃ আমরা ছাদ বাগানের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয় । যেমন , ছাদে কি ধরনের ফল ফুল ভালো হয় সেটা নিরবাচন করতে পারিনা, টব নিরবাচন করতে জানিনা । টবের মাটি কিভাবে তৈরি করতে হয় সেটা জানি না, । কখন কোন সার বা কীটনাশক কি পরিমানে ব্যবহার করতে হয় , সেটা জানি না , । গাছের রোগ নির্ণয় করতে পারি না, । যার বিস্তারিত আলোচনা করা আছে আমাদের এই বইটিতে । এছারাও আপনি কোন মোসুমে কোন ধরনের শাকসবজি এবং ফল মূল চাষ করবেন সেটাও বিস্তারিত আলোচনা করা আছে আমাদের এই বইটিতে ।
গাছের অণুখাদ্য বা সুষম সারঃ1 টা গাছের বেচেঁ থাকতে যে 17 টি উপাদান প্রয়োজন হয়। যার 15 টিই রয়েছে আমাদের এই অণুখাদ্য । যেমন , ট্রাইকোডার্মা,ভারমিকম্পস্ট,নিম খৈল, হাড়ের গুড়া , শিং কুচি, সরিষার খৈল , ইত্যাদি । প্রতিটি উপাদান সঠিক অনুপাতে মিশিয়ে এই অণুখাদ্য তৈরী করা হয়। এটি প্রয়োগ করলে বাড়তি কোনো সার প্রয়োগ করার প্রয়োজন হয় না। এই প্যাকেজে ২৫-৩০ টি গাছের জন্য ৬ মাসের খাবার বা অনুখাদ্য দেয়া আছে।
ফ্লোরাঃ ধান, সবজি, ফুল আর ফলে; বাড়বে ফলন ফ্লোরা দিলে। ফ্লোরা একটি তরল জাতীয় বহুগুণ সম্পন্ন পণ্য যা ব্যবহারে একদিকে গাছের শিকড়, পাতা ও কান্ডের খাদ্যসঞ্চয়ের ক্ষমতা বাড়ে অপরদিকে, উদ্ভিদের ফুল ও ফলের ফলন বৃদ্ধি হয়।ফ্লোরা কোনোভাবেই সরাসরি কীটপতঙ্গ ধ্বংস করেনা তবে এটি ব্যবহারে গাছ শক্তিশালী হয়ে উঠে যার ফলে গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়।
✅কিটনাশক ঃ যেকোন ধরণের পোকার আক্রমণ রোধে দেয়া আছে "সবিক্রন"। *এটি একটি স্পর্শক, পাকস্থলীয় ক্রিয়াসম্পন্ন সিনথেটিক পাইরিথ্রয়েড জাতীয় তরল কীটনাশক। *এটি স্প্রে করা কিছু সময়ের মধ্যেই গাছের ভিতরে প্রবেশ করে ছড়িয়ে পড়ে এবং কীড়া, ডিম ও পূর্ণাঙ্গ পোকা দমন করে। *এটি ফসল চুষে ও চিবিয়ে খাওয়া পোকা যেমন ফলের মাছি, সাদামাছি, জাব পোকা, পামকিন বিটল দমন করতে অত্যন্ত কার্যকরী।
✅ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়াঃ ম্যানসার (ছত্রাকনাশক) ৭৫ ডব্লিউপি (কার্বেন্ডাজিম ১২% + ম্যানকোজেব ৬৩%) গার্ডেনিং বা চাষবাস দুটো ক্ষেত্রেই ছত্রাকনাশক একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । দুই ধরনের ছত্রাকনাশকের সমন্বয়ে তৈরি হচ্ছে ম্যানসার। সিস্টেমিক কার্বেন্ডাজিম ও নন সিস্টেমিক প্রতিরক্ষামূলক ম্যানকোজেব। কার্বেন্ডাজিমের সিস্টেমিক ক্রিয়ার কারণে ভিতরে থেকে এবং ম্যানকোজেবের স্পর্শক ক্রিয়ার কারণে বাইরে থেকে ফসল রক্ষা করে। দ্বিমুখী ক্রিয়ার কারণ ম্যানসার ফসলকে খুবই ভালভাবে সুরক্ষা দেয় এবং সক্রিয় ভাবে গাছের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। ম্যানসার (ফাঙ্গিসাইড) ফল-মূল, শাক সবজি সহ সব ধরনের গাছে ব্যাবহার করা যায়। এছাড়াও এডেনিয়াম, ক্যাকটাস, আইস প্ল্যান্ট, পর্তুলিকা, গোলাপ, সাকুলেন্ট ইত্যাদি সহ অতি নমনীয় গাছ গুলোকে ছত্রাকের হাত থেকে রক্ষা করতে “ম্যানসার” ফাঙ্গিসাইড ব্যাবহার করে সুরক্ষা পাবেন।
✅ ট্রাইকোডার্মাঃ ট্রাইকোডার্মা হচ্ছে মাটিতে মুক্তভাবে বসবাসকারি উপকারি ছত্রাক- যা উদ্ভিদের শিকড়স্থ মাটি, পঁচা আবর্জনা ও কম্পোস্ট ইত্যাদিতে অধিক পরিমাণে পাওয়া যায়। এটি মাটিতে বসবাসকারি উদ্ভিদের ক্ষতিকর জীবাণু যেমন- ছত্রাক, ব্যাকটেরিয়া ও নেমাটোডকে মেরে ফেলে। ট্রাইকোডার্মা প্রকৃতি থেকে আহরিত এমনই একটি অণুজীব যা জৈবিক পদ্ধতিতে উদ্ভিদের রোগ দমনে ব্যবহার করা হচ্ছে।